আমেরিকা , মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫ , ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ডেট্রয়েটে গুলিতে নারী নিহত, একজন পুরুষ আহত চিন্ময়ের বিরুদ্ধে বাড়লো মামলা, গ্রেফতার দেখাতে নির্দেশ দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া ইউএম বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করলেন নেসেল ডেট্রয়েটে সাশ্রয়ী আবাসনের নতুন আশা : কমিউনিটি ল্যান্ড ট্রাস্ট মিশিগানে স্কুল শুটার প্রতিরোধে  নতুন প্রোগ্রাম, মেট্রো ডেট্রয়েটে শুরু ওয়েস্ট ডেট্রয়েটে আগুনে পুড়ে নারীর মৃত্যু, তদন্ত চলছে ওয়েস্টল্যান্ডে হঠাৎ বিস্ফোরণ, বাড়ি বিধ্বস্ত হলেও হতাহতের খবর নেই শিশু কন্যাকে অপরাধে বাধ্য করিয়ে পিতা গেলেন জেলে ডেট্রয়েটে গুলিতে মিশিগান রাজ্য পুলিশের এক সৈনিক আহত, ১ জন নিহত আইনজীবী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো চিন্ময়কে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের বিরুদ্ধে ৮ কর্মীর মামলা বৃষ্টিতে ভিজলেও থামেনি উৎসব, ঐক্যের  বার্তা দিলেন মেক্সিকান-আমেরিকানরা ডেট্রয়েটে স্ত্রীকে তরবারি দিয়ে হত্যা করে স্বামীর আত্মসমর্পণ ইস্টপয়েন্টে ফুট লকারের বাইরে গুলি, প্রাণ হারাল দুই যুবক বাংলাদেশ দূতাবাস ওয়াশিংটন ডিসিতে ওপেন হাউস প্রয়াত বিশ্বের প্রবীণতম যোগসাধক শিবানন্দ শিশুপর্ন মামলায় বর্ডার প্রোটেকশন অফিসার গ্রেপ্তার ট্রাম্পের আস্থা পেলেন জেরোম গরগন, ইউএস অ্যাটর্নি নিযুক্ত হাইওয়েতে দুর্ঘটনার পর গাড়ি থেকে নেমে নিহত ডেট্রয়েটের ব্যক্তি
আরাকান আর্মি নিয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

আমরা যার সঙ্গে ইচ্ছা দেখা করব, কে কী বলল যায়-আসে না

  • আপলোড সময় : ০৬-০৫-২০২৫ ০১:১৪:১০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০৫-২০২৫ ০১:১৪:১০ অপরাহ্ন
আমরা যার সঙ্গে ইচ্ছা দেখা করব, কে কী বলল যায়-আসে না
ঢাকা, ৬ মে (ঢাকা পোস্ট) : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, আমাদের স্বার্থে আমরা যার সঙ্গে ইচ্ছা তার সঙ্গে দেখা করব। কে কী বলল যায়-আসে না। মঙ্গলবার (৬ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
খলিলুর রহমান বলেন, আমরা সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমাদের স্বার্থে আমরা যার সঙ্গে ইচ্ছা তার সঙ্গে দেখা করব। কে কী বলল যায়-আসে না। আমরা একটা স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করেছি এবং সেটা বাস্তবায়ন করছি। মিয়ানমার আরাকান আর্মিকে একটা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে দেখে কিন্তু তারাও কথা বলছে। তারা যুদ্ধবিরতির কথা বলছে।
কেন আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ প্রয়োজন তা তুলে ধরে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সীমান্তের ওপারে এখন নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির। এটা তো আমাদের সীমান্ত এবং এটা আমাদের সার্বভৌম সীমান্ত। এই সীমান্ত আমাকে ম্যানেজ করতে হবে, রক্ষা করতে হবে, শান্তিপূর্ণভাবে রক্ষা করতে হবে। এটা একটা ক্রসবর্ডার। এজন্য ওপারে যেই থাক তার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখব। তাপমা‌দো (‌মিয়ানমার সেনাবা‌হিনী) যদি ওই পাশে আসে আসুক। তাদের সঙ্গে আগে আমাদের যোগাযোগ ছিল। তারা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করুক, আমরা তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করব।
আরাকান আর্মির সঙ্গে সরকারের যোগাযোগের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর এপ্রিলে জেনারেল মিন অং হ্লায়িংয়ের সরকার ঢাকায় কূটনৈতিক পত্র দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। সেই চিঠিতে জান্তা সরকার ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করেছে। তবে এখন অবধি বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি।
আরাকান আর্মির সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ বিপরীতমুখী কিনা-এমন প্রশ্নে খলিলুর রহমান বলেন, ওপারে সীমান্তে আরাকান আর্মি আছে। তার সঙ্গেতো আমার কাজ করতেই হবে, তাই না?
জান্তা সরকারের সঙ্গেও সরকার যোগাযোগ আছে জানিয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে যোগাযোগ আছে। একটা সমস্যার সমাধান করতে হলে সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। তা না হলে এটা আপনি সমাধান করতে পারবেন না।
মানবিক করিডর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে খলিলুর রহমান বলেন, শেষ অবধি আমরা দেখব সব পক্ষ রাজি কিনা। রাজি হলেই যে আমরা মানবিক সাহায্য দেব তেমন কোনো কথা নেই। কারণ, আমাদের অন্যান্য বিষয় আছে…।
তিনি আরও বলেন, আরাকানের যে নতুন কর্তৃপক্ষ তৈরি হয়েছে সেখানে আমরা রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব চাই। আমরা চাই, সেখানে রোহিঙ্গা যারা আছেন তাদের ওপর যেন কোনো অত্যাচার না হয়। তাদের বিরুদ্ধে যেন বৈষম্যমূলক আচরণ করা না হয়। তারা যেন আবার দলে দলে বাংলাদেশে না আসে। জাতিগত নিধন কোনো অবস্থাতেই আমরা মানব না। এটা আমাদের রেড লাইন।
গত দেড় বছরে এক লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছেন। তাদের বসবাসের জন্য ঘর বরাদ্দ চেয়ে বাংলাদেশকে চিঠি দিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর)। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, আগেও যারা এসেছেন তারা আমাদের বন কেটে ঘরবাড়ি করেছে। এটা আমাদের পরিবেশগত প্রভাব পড়েছে।
নতুন করে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে চায় তাদের মানবিক কারণে বাংলাদেশ আশ্রয় দেবে কিনা-জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যাতে আর রোহিঙ্গারা না আসে। আর এই কথাটাটি আমরা তাদের (আরাকান আর্মিকে) জানিয়েছি। আমরা জাতিসংঘের মাধ্যমে যে কথাগুলো তাদের জানিয়েছি, আরাকান নতুন যে প্রশাসন তৈরি করছে তার সব স্তরে আমরা রোহিঙ্গাদের দেখতে চাই।
‘যদি সেটা তারা না করে এটা হবে জাতিগত নিধন, যেটা কোনোভাবে সমর্থনযোগ্য নয়। এই কাজটি যদি তারা না করে তাদের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া খুব মুশকিল হবে। এটা আরাকান আর্মির জন্য একটা টেস্ট।’ বলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

কমেন্ট বক্স
আমরা যার সঙ্গে ইচ্ছা দেখা করব, কে কী বলল যায়-আসে না

আমরা যার সঙ্গে ইচ্ছা দেখা করব, কে কী বলল যায়-আসে না